গাজওয়াতুল হিন্দ
- আজহারুল ইসলাম সোহাগ ১৯-০৫-২০২৪দামামা বাজিয়া উঠিল বুঝি দিয়ে হুঙ্কার, ওরে ঘুমানো মুসাফির, বদর ফিরছে আবার। হিয়ালি থাকার ক্ষনিয়া আসিছে তোমার ভবে, দেখ স্বর্গের সুখ ডাকিছে তোমায় তবে। হাজার বছর পাড়ি দিয়ে এসেছে, দোয়ারে তব অহরহ, ভুল করেও যদি দূরে থাকো, পুড়বে নরকে দাবদাহ। তাবুক, ওহুদ পাওনি তবে নও তুমি না ফরমান, আসিছে বদর, খন্দক জানাও নিজের ফরমান। পলায়নের দলে, যদি তোমার নাম হয় লেখা, তবুও ঘ্রাষিবে যুদ্ধ, যবে তোমারি পাবে দেখা। শহীদের দরজা খোলে গেছে বদরের মত; চলে আসো মুসাফির দলে দলে শতশত। তোমাদের থেকে যারা, শুধা করিবে পান মরনের! জান্নাতের সুঘ্রাণ তাদের, পররিমল করিবে পরকালের। শহীদের হালে, তোমার হাল বাধা হবে, তবে কেন ভয়? ওয়াদা করেছে আল্লাহ কবে। বেঁছে থাকিবে যারা, করিবে বিজয় উল্লাস! গাজী যে তারা , স্বর্গ তাদের অপেক্ষায় উচ্ছাস। অসৃকে ভেসে যাবে হিন্দের আঞ্চল, মুশরিক যত মারা পরে যাবে, মুসলিমের হবে হিন্দ অঞ্চল। কেন ভয় তোমার, যুদ্ধের ফল হয়েছে প্রকাশ; সে-ত হয় হাজার বছর আগের হিসাব। বদরের তিনশ তের, সে গড় হবে আজো, শুধু ভীতুরা পালাবে, তাদের জাহান্নামে খোজ। যে যুদ্ধ করিবে প্রাণপনে, দিয়ে দিবে প্রাণখানা; তাদের নাম লেখা হয়ে গেছে জান্নাতের শাহনামা। গাজীরা ফিরবে রক্ত পদতলে ধরণী লালিমা! উজ্জাপিবে বিজয়, উড়াবে ঝান্ডা, খচিত কালিমা। মিশে যাবে মুশরিকের দল, ধরণীর তলে! মুসলিম করিবে আঞ্জাম, আশমানী শাষন চলে। মুশরিক রাজাদের ডান্ডা বেড়ী পড়াবে মুসলমান, বন্দিশালার বন্দির মত, নিয়ে যাবে খোরাশান। থাকবেনা আর কোন কু-শাষন এ হিন্দে, মুছে যাবে সব তাদের, শধু নামখানা রহিবে সিন্ধে। গাজওয়ার শেষ পান্তের দিকে, ছড়ায়ে দিতে শান্তি, আসিবে মাহদি, মরিয়ম তনয়, ঘুচিবে ক্লান্তি। আহা কেন ভয় তোমার কণ্ঠ করো উজ্জিবিত, হাতছানি দিয়ে ডাকছে তোমায়, আর নই হওয়া নিষ্পেষিত। ঘরে ঘরে বাজিয়া উঠুক ধ্বনি, গাজওয়াতুল হিন্দ, জান্নাত তোমার শেষ ঠিকানা, যদি গাও এর গীত। বড় রাঙ্গা মাটিয়া, সাভার ১৬ ফাল্গুন ১৪২৫
মন্তব্যসমূহ
এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।